শ্বশুর বাড়ি আপন নয়: অনেক স্বপ্ন-সাধ নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়া নতুন বউদের উদ্দেশ্যে
আমার উদাত্ত আহ্বান-
দেখো, বিয়ের পর তোমার শ্বশুর বাড়িতে
থাকাকালীন সময়ে যেকোনো কষ্ট দুঃখের জন্য যে তোমার শ্বশুরবাড়ি দায়ী, স্বামী দায়ী, শ্বশুর-শাশুড়ি দায়ী, ননদ, দেবর-ভাসুর, জা দায়ী, তা কিন্তু নয়। এসব কিছুর জন্য নিজের ভুলটা আগে খুঁজবে।
নিজের দোষটা পেয়ে সংশোধন হয়ে গেলে আর শ্বশুরবাড়ি তোমার জন্য দুঃখ-কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। আর যদি ভাবো
নিজের কোনো দোষ নেই তাহলে ভুল ভাবছো। শ্বশুরবাড়ির সকলের ভুলে তুমি ধৈর্য ধরতে
পারো না, এটাই তো
তোমার বড় দোষ।
সত্য কথা হলো- তুমি তোমার শ্বশুর বাড়িতে এসেই
যদি ভাবো এটা তোমার নিজের বাড়ি, তাই সবাই তোমাকে খুব গুরুত্ব দেবে, তুমি যা খুশি তাই করতে পারবে, এই ভাবনাটা কিন্তু ভুল। তোমার ভাবনা অনুযায়ী শ্বশুর
বাড়ি হবে না, হলেও সহজে
নয়। এটা তোমার বাবার বাড়ি নয়। এখানে বাবার বাড়ির পরিবেশ তৈরি করতে হলে সময়
লাগবে। তোমাকে সেই পরিবেশটা অর্জন করে নিতে হবে, আপনাআপনি হবে না। নতুন বউ হয়ে এসেই তুমি তা পেয়ে
যাবে না!
যখনই তুমি
নিজের বাড়ি ভাবতে যাবে তখনই তুমি ছোটখাটো ভুল করে বসবে। সেই ভুলগুলোকে হাইলাইটস
করে তোমাকে দোষী বানানো হবে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ এটা তোমার শ্বশুর বাড়ি, বাবার বাড়ি নয়। কাজেই তোমাকে
সতর্ক থাকতে হবে। বাবার বাড়ি যা করেছিলে তা এখানে করতে পারবে না তুমি। যদি একটু
সতর্ক থাকো তাহলে শ্বশুর বাড়িটা স্বাভাবিক সুন্দর। বাবার বাড়ির মত অসতর্ক জীবন
যাপন করলে তোমার জন্য এ বাড়ি কাল হয়ে দাঁড়াবে!
এ বাড়িতে
তোমার ছোট ছোট ভুলকে বড় করে দেখা হবে। দোষী করা হবে। তার জন্য তোমাকে তিরস্কার
করা হবে। শাস্তি দেওয়া হবে। এটাই স্বাভাবিক। কারণ তুমি কারো স্ত্রী, কারো পুত্রবধূ, এ বাড়ীর মেয়ে নও। বাবার
বাড়িতে থাকাকালীন সময়ে তোমার ছোটখাটো ভুলগুলো বাবা-মাসহ কেউই গুনে দেখত না। সেগুলো তোমার ছেলেমানুষি
ভেবে তারা উড়িয়ে দিতো। আজ কিন্তু শ্বশুর বাড়িতে এসেছো। কাজেই কোনো ভুল করার
অধিকার তোমার নেই।
যেমন ধরো
তোমার ননদ কত ভুল করে সেগুলো তোমার চোখে ধরা পড়ে। তুমি ভাবো- আমার ননদ ভুল করছে আমার শাশুড়ি
মায়ের চোখে তা পড়ে না, আমি একটু ভুল করলে তা নিয়ে কত কিছুই না করে। তোমার মা-ও হয়তো তোমার ভাবির সাথে ঠিক
এমন করছে, যেমনটি তোমার
শ্বশুর বাড়ির লোকেরা তোমার সাথে করছে। কাজেই কাজেই তোমাকে প্রথমত বুঝতে হবে- তোমার ভুল করা চলবে না।
আবার ধরো
তোমার স্বামী তোমার উপর অন্যায় ভাবে প্রহার করছে। খারাপ আচরণ করছে। তোমার শাশুড়ি
কিন্তু সেগুলো ঢাকা দেবার চেষ্টা করবে। সেগুলো প্রকাশ করবে না। আর তুমি কোনো ভুল
করলে সেটা কিন্তু সে তোমার শশুর ননদ দেবর ভাসুর সবার কাছে বলে দিবে। এমন কি তোমার
স্বামী ঘরে ফেরার সাথে সাথেই তার কাছে বলে দিয়ে তোমাকে দোষী বানানোর চেষ্টা করবে, না হয়তো তোমাকে সংশোধনের
চেষ্টা করবে। তোমার দোষগুলো তারা তুলে ধরবেই।
এই বাংলার
জমিনে এমন কোন শ্বশুর বাড়ি নেই যেখানে পুত্রবধূর দোষগুলো বড় করে দেখা হয় না।
যেখানে পুত্রবধূর ভুলগুলো ধরা হয় না। তুমিও তো তার বাইরে নও। কাজেই তোমাকে ভুল
করা চলবে না। তোমার শ্বশুর-শাশুড়ি তোমার স্বামীর ভুল ধরবেই না। কাজে তা নিয়ে দুঃখ
পাওয়ারও কোনো কারণ নেই। শুধু তোমাকেই ভুল করা চলবে না। তোমার স্বামী তো ভুল করবেই কারণ
এটা তার নিজের বাড়ি। তুমি অন্য বাড়ি থেকে এসেছো তাই তোমার সব দোষ!
এটাও সত্য
তোমার শাশুড়ির পেটের ছেলে তোমার স্বামী। কাজেই তার দোষ ধরলে তো পেটের দোষ হয়। আর
তুমি পরের মেয়ে। নিজের ছেলেকে বাঁচিয়ে হলেও তোমার দোষ ধরে নিজের জাত রক্ষা করতে
চাইবে শাশুড়ি। এর জন্য কষ্ট না পেয়ে বরং তুমি ভুল না করলেই তো হয়!
তোমার ননদ
সারাদিন বাপের বাড়িতে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে গেলে তোমার শাশুড়ি মা হয়তো বলবে- "থাক আর কাজ করিস না, বিশ্রাম নে, খেয়ে নে, গোসল করে নে"। যদি তোমার ক্ষেত্রে না বলে, তাহলে দুঃখ পেয়ো না। কারণ ননদ
তার পেটের মেয়ে,
তুমি কিন্তু
তা নও। তোমাকে তোমার সাধ্যের ভিতরে কাজ করে নিজের জান ও শরীর স্বাস্থ্য বাঁচানোর
জন্য সুযোগ বের করতে হবে। এ সুযোগ তোমাকে হয়তো তোমার শাশুড়ি কোনোকালেই দিবে না।
আর এটা নিয়ে দুঃখ পাওয়ারও কোনো কারণ নেই।
পরিবারে কোনো
অশান্তি হলে, তোমার ননদ
দেবর ভাসুর শ্বশুর-শাশুড়ি
তোমার উপর অবিচার করলে, সব ক্ষেত্রেই যে তোমার স্বামী প্রতিবাদ করবে, তাদের দোষ গুলো ধরিয়ে দিবে, তোমার দোষ ছিল না সেটা তুলে
ধরবে, এমনটি তুমি
ভাববে না। কারণ হলো তার নিজের মা নিজের বাবা নিজের ভাই-বোন, তাদের প্রতি তার একটা টান তো থাকবেই। তারা যদি বোঝান আমরা
কোনো অন্যায় করিনি,
সব অন্যায়
তোর বউয়ের। তাহলে তাদের বুঝ তোমার স্বামী মেনে নিতেও পারে। কাজেই এটা নিয়েও
তোমার আক্ষেপ থাকা উচিত নয় বরং তোমার উচিত কোনো ভুল না করা।
তুমি চলে
গেলে মরে গেলে ওই বাবা-মা, ভাই-বোনে তাকে আবার নতুন বউ এনে দিবে। তাদের কাছেই তোমার
স্বামীর জন্ম, বড় হয়ে ওঠা, বেঁচে থাকা। কাজেই তোমার
স্বার্থে তোমাকে ভালো হতে হবে। যাতে করে তুমি স্বামীর সাথে শ্বশুরবাড়িতে টিকে
থাকতে পারো।
তোমার কাছ
থেকে সবাই সম্মান চাইবে। শশুর সম্মান চাইবে, শাশুড়ির সম্মান চাইবে, ভাসুর সম্মান চাইবে, বড় ননদেরা সম্মান চাইবে, বড় ভাবি সম্মান চাইবে। কারণ তুমি এ বাড়ির বউ।
তোমাকে বউ করে আনা হয়েছে বউয়ের কাছ থেকে সবাই সম্মান পাবে। এটাই স্বাভাবিক। তুমি
তা দিতে ব্যর্থ হলে দোষ তো তোমারই। কিন্তু তুমি যে বাড়ির বউ তোমারও যে একটা
সম্মান আছে পুত্রবধূ হিসাবে শশুর শাশুড়ির কাছ থেকে, স্ত্রী হিসেবে স্বামীর কাছ থেকে, ভাইয়ের বউ হিসেবে ননদ-দেবর-ভাসুরের কাছ থেকে। সেই সম্মানটা আগে কেউই হিসাব করবে
না। শুধু তোমার কাছ থেকে সম্মান পেতে চাইবে। তাই এটা নিয়েও তোমার দুঃখ করলে চলবে
না। তোমাকে আগেই সব সময় সম্মান দিতে হবে।
যদি তুমি
ভাবো- শ্বশুরবাড়িতে
এসে তুমি ফেলে আসা বাবা-মায়ের জাগায় শ্বশুর-শাশুড়িকে বাবা-মা হিসেবে পাবে, তাহলে ভুল করলে। তারা তোমার স্বামীর বাবা-মা। তারা তোমাকে জন্ম দেয়নি।
জন্ম দিয়েছে তোমার স্বামীকে। তোমার বাবা-মা তোমার শত ভুল তোমার শত জ্বালাতন সহ্য করেছে। কারণ
তুমি তাদের গর্ভের সন্তান। কিন্তু তোমার শ্বশুর-শাশুড়ি কিন্তু তা সহ্য করবে না। কাজেই তোমাকে কোনো
ভুল করা চলবে না।
তুমি যদি ভুল
না করো, তুমি যদি
শশুর শাশুড়িকে সম্মানের উপর সম্মান দিতে থাকো, তাহলেই তারা তোমাকে মেয়ের মতো কেউ একজন ভাবতে পারে।
আবার নাও ভাবতে পারে। তাই বলে তুমি কি তাদের সম্মান করবে না? অবশ্যই করবে। ঠিক তোমার মা-বাবার মত নতুন মা-বাবা ভাবতে থাকো শ্বশুর-শাশুড়িকে। তাহলে বিনিময়ে
তাদের কাছ থেকে ভালোটুকু পেতেও পারো। তবে আশা করবে না।
মনে রাখবে- ননদ কখনো নিজের বোন হয় না, দেবর ভাসুর কখনো নিজের ভাই হয়
না, শশুর কখনো
নিজের বাবা হয় না,
শাশুড়ি কখনো
নিজের মা হয় না। নিজের জন্মস্থানে যে ভাই বোন মা বাবা রেখে এসেছো তাদের সমতুল্য
মা-বাবা ভাই বোন
তুমি শ্বশুর বাড়িতে প্রত্যাশা করো না। তবে তুমি যা পেয়েছ তা হলো ননদ দেবর ভাসুর
শ্বশুর-শাশুড়ি।
এইসব স্বজনেরা হলেন স্বামীর মা বাবা ভাই বোন। অর্থাৎ আইনের মাধ্যমে সম্পর্কিত।
কাজেই এ সম্পর্ক ধরে রাখতে হলে তোমাকে কখনো কখনো আইনের লড়াইয়ে নামতে হতে পারে। এ
সম্পর্ক ভালো করতে হলে তোমাকে কোরআন হাদিস ফলো করতে হতে পারে। সর্বোপরি মনে রাখবে- এই সম্পর্ক গুলো রক্তের নয়, তৈরি করা সম্পর্ক। কাজেই এই
সম্পর্ক ওই ঠিক আপন মা বাবা ভাই বোনের মত করতে হলে তোমাকে পরিশ্রম করতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে। তোমাকে অনেক
ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।
যদি তুমি
দেখো তোমার শাশুড়ি তোমার ননদকে খুব বেশি ভালোবাসে। খাওয়া পড়ায় সব দিকে বেশি
বেশি দেয় তোমার তুলনায়। তাহলে তুমি কষ্ট পেয়ো না। তুমি তার নিজের মেয়ে নও।
তোমার ননদ তোমার শাশুড়ির নিজের মেয়ে। শাশুড়ি আম্মা তার নিজের গর্ভজাত মেয়ের
জন্য অনেক করছেন,
তোমার জন্য
কিছুই করেন না। এটা নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলা ঠিক নয়। তার নিজের মেয়ের জন্য সে করছে, আর তোমার জন্য তোমার মা করবে।
এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। নিজের কন্যা সন্তানের প্রতি নানাবিধ দায়িত্ব পালন করার পর
পুত্রবধূর প্রতি তার অবস্থান থেকে যতটুকু করছেন ততটুকুই ভালো। তুমি মেনে নাও।
যদি তুমি
শ্বশুর বাড়িতে আসার সময় অনেক প্রত্যাশা নিয়ে এসে থাকো, তাহলে তোমাকে বলছি- তুমি প্রত্যাশা কিছু করো না। বরং তোমাকে দিয়ে তাদের
প্রত্যাশা কি ছিল সেটা তুমি পূরণ করার চেষ্টা করো। তাহলে তোমার প্রত্যাশা পুরোপুরি
না হলেও আংশিক পূর্ণ হতে পারে। কেনোনা শ্বশুরবাড়ি এমন এক সম্পর্ক সেখানে তোমাকে
দিয়ে সবার প্রত্যাশা পূরণ হলেই তারা তোমার প্রত্যাশা পূরণের আংশিক সুযোগ দিবে।
সেইটুকু নিয়েই তোমাকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। প্রত্যাশা শতভাগ পূরণের জন্য সময়ের
প্রয়োজন। তার জন্য তোমাকে অনেক সাধনা করতে হবে।
ওহে শশুর
বাড়িতে যাওয়া নতুন বউ- নেতিবাচক অনেক কথা শুনালাম। তবে সবই তো সত্য। তাই বলে কি
শ্বশুরবাড়িতে যাবে না? তাই বলে কি শ্বশুর-শাশুড়ি ননদ দেবর ভাসুর এরা আপন হবে না? হবে! তবে সহজে নয়। সর্বোচ্চ ভালোবাসা দিয়ে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে, সর্বোত্তম ব্যবহার দিয়ে, তারপর তাদের আপন করে নিতে হবে। কিন্তু সে
পথটা সহজ নয়। ধৈর্যচ্যুত হয়ে তাদের উপরে আঙ্গুল তুললে, তাদের কথার উপর কথা বললে, তাদের ভালোবাসা খেদমতে ত্রুটি করলে, তুমি তাদের সাথে নিয়ে টিকে
থাকার মতো একটা শ্বশুরবাড়ি পাবে না।
যদি তুমি ভুল
করো তাহলে শেষ পর্যন্ত তোমার হাতে থাকবে শুধু স্বামী। তাকে নিয়েই বেঁচে থাকতে
হবে। অধিকাংশ মেয়ের ইচ্ছা তাই। তারা প্রথমে চেষ্টা করে শ্বশুর-শাশুড়ি সবাইকে নিয়ে টিকে
থাকার। কিন্তু অল্পতেই ধৈর্যচ্যুত হয়ে যেয়ে তা পারে না। তখন সে শুধু স্বামীকে
নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়। ফলে স্বামীকে তার কারায়ত্ব করতে চায়। শশুর-শাশুড়ি ননদ দেবর ভাসুর সকলের
কাছ থেকে স্বামীকে ছিন্ন করে রাখতে চায় নিজের গণ্ডিতে। তখন এ ধরনের নারী স্বামীর
বাড়ি পায় কিন্তু তার শ্বশুরবাড়ি বলে কিছু থাকে না।
এখন বিবেচনা
তোমাদের প্রতি, তোমরা কি
শ্বশুরবাড়ি চাও?
নাকি
শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে স্বামীকে নিয়ে একা বেঁচে থাকতে চাও? বিয়ের পরপরই হয়তো অনেকেরই
শ্বশুরবাড়িতে কষ্ট করে টিকে থাকতে হয়। স্বামীকে নিয়ে আলাদা থাকা হয় না। এর
জন্য আমি বলি- তোমাকে ধৈর্য
পরিশ্রম সাধনার মাধ্যমে শ্বশুরবাড়িতে যোগ্য স্থান তৈরি করে নিতে হবে। এরপরে একদিন
শশুর-শাশুড়িসহ
কেউই তোমার পাশে থাকবে না, সেদিন তুমি হয়ে যাবে সর্ব সেরা গৃহকর্তী। হয়ে যাবে একজন
শাশুড়ি। এইভাবে সম্পর্কের উত্থান পতনের মাধ্যমে তোমার অবস্থান নতুন কালের তোমার শাশুড়ির
মতোই হবে।
কাজেই আমি
মনে করি- তোমাকে
অপেক্ষা করা উচিত। কাউকে দূরে ঠেলে ফেলে দেওয়া উচিত নয়। কেননা কালের বিবর্তনে
একদিন তুমি মা হবে,
শ্বাশুড়ি
হবে। আজকের এই শ্বশুরবাড়ি তোমার নিজের বাড়ি হয়ে যাবে। সেই চিরসত্য
শ্বশুরবাড়িকে নতুন বউ হয়ে যেমন আজ সাদরে গ্রহণ করেছো, ঠিক পুত্রবধূ হয়েও আঁকড়ে ধরে থাকো, একদিন তুমিই হয়ে যাবে শাশুড়ি।
কিন্তু আজই একটা প্রশ্ন করে রাখি- তখন তুমি তোমার ঘরে পুত্রবধূর হয়ে আসা মেয়েটার সাথে
ন্যায্য আচরণ করতে পারবে কিনা? তোমার পুত্রবধূ কি এ বাড়িতে নিজের বাড়ির মতো ভাবতে পারবে? তারও কি যথাযোগ্য মর্যাদা ও
মূল্যায়ন এ বাড়িতে থাকবে?
আমার এত এত কথা শুনে কোন মেয়ে হয়তো নিজেকে প্রশ্ন করবে- শুধু কি মেয়েরা বউ হয়ে বাঁচে? না বোন তা নয়। তোমাকে যেমন জীবনের ২০ বছর পার হতে না হতেই বউ হতে হয়েছে ঠিক তেমনি একজন পুরুষকেও তো স্বামী হয়ে বাঁচতে হয়। আসলে মানুষের জীবনটা এমনই। প্রত্যেককে নানান সম্পর্কের মধ্য দিয়েই বেঁচে থাকতে হয়। জীবনকে যেমন অস্বীকার করা যায় না তেমনি জীবনের জীবন্ত সব সম্পর্ককে এড়িয়ে বাঁচা যায় না। তাই শুধু তোমাকে নয় বরং তোমার স্বামীকেও ভালো হতে হবে ও কোন ভুল করা চলবে না। আর এটাই জীবন।
শশুর বাড়ির প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য
শশুর বাড়ির অত্যাচার
শশুর বাড়ির হক
শশুর বাড়ি meaning in english
শ্বশুর বাড়ি নিয়ে উক্তি
শশুর বাড়ি বানান
বাপের বাড়ি meaning in english
শ্বশুর ইংরেজি অর্থ
শ্বশুর বানান
স্বামীর উপর স্ত্রীর হক কয়টি
স্বামীর হক স্ত্রীর অধিকার বই
স্বামীর হক স্ত্রীর অধিকার pdf
স্বামীর হক কয়টি
আদর্শ স্বামী স্ত্রীর কর্তব্য ও মিলন তথ্য
স্ত্রীর হক কি কি
কুরআন সুন্নাহর আলোকে স্বামী স্ত্রীর অধিকার
স্বামীর প্রতি স্ত্রীর কর্তব্য
বিয়ের পর স্ত্রী কোথায় থাকবে
বিয়ের পর বাবার বাড়ি
শশুর বাড়ি নিয়ে উক্তি
মেয়েদের আসল বাড়ি কোনটি
স্ত্রী যৌথ পরিবারে থাকতে না চাইলে ইসলাম কী বলে
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে (Bangla Articles) প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় দুষ্কৃতিকারী নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles