বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা বলতে কি বোঝায়? বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার নীতি ও উদ্দেশ্য কি কি? আলোচনা করুন।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা (Scientific Management): বৈজ্ঞানিক
ব্যবস্থাপনা হল একটি ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব যা ১৯১১ সালে
ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেইলর (Frederick Winslow Taylor) দ্বারা
প্রবর্তিত। এই তত্ত্বটি কর্মীদের কার্যকারিতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করার জন্য
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কাজের বিশ্লেষণ ও পরিকল্পনা করে।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হল কাজের গতি এবং দক্ষতা বৃদ্ধি করা, যাতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও লাভজনক হয়।
ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেইলর বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার চারটি মূল
নীতিমালা প্রদান করেছেন, যেগুলো
সংক্ষেপে নিচে আলোচনা করা হলো:
১. গতানুগতিক হাতুড়ে পদ্ধতি ত্যাগ করে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির ব্যবহার:
টেইলর পুরোনো এবং ঐতিহ্যগত পদ্ধতিগুলিকে পরিহার করে কাজের জন্য বিজ্ঞানভিত্তিক
পদ্ধতি গ্রহণের ওপর জোর দেন। এর মাধ্যমে কাজের প্রতিটি উপাদান বিশ্লেষণ করা হয় এবং
তার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী ও সঠিক পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। এর ফলে কর্মীরা সঠিকভাবে
কাজ করতে পারে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
২. বৈজ্ঞানিক উপায় কর্মীদের নির্বাচন, প্রশিক্ষণ,
শিক্ষা ও উন্নয়ন: কর্মীদের
সঠিকভাবে নির্বাচন ও প্রশিক্ষণ প্রদান করতে হবে, যাতে তারা তাদের কাজের জন্য উপযুক্ত হন। প্রতিটি কর্মীকে তাদের দক্ষতা
অনুযায়ী কাজ প্রদান করা উচিত এবং তাদের উন্নতির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা
প্রদান করতে হবে। এভাবে তারা তাদের কাজের গুণগত মান বজায় রাখতে পারে।
৩. শ্রমিকদের সাথে সহযোগিতামূলক ও সহানুভূতির সম্পর্ক
প্রতিষ্ঠা: টেইলর কর্মীদের সাথে ভাল
সম্পর্ক তৈরি করার ওপর গুরুত্ব দেন। তার মতে, ব্যবস্থাপনা
ও কর্মীদের মধ্যে সুসম্পর্ক এবং সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে কর্মীরা তাদের কাজের প্রতি আগ্রহী ও দায়িত্বশীল থাকে। এর মাধ্যমে
একটি ইতিবাচক কাজের পরিবেশ তৈরি হয়।
৪. ব্যবস্থাপনা ও শ্রমিকদের মধ্যে কাজ ও দায়িত্বের সুষ্ঠু
বন্টন: টেইলরের মতে, ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিকদের মধ্যে কাজ ও দায়িত্ব সুষ্ঠু এবং
সঠিকভাবে বণ্টন করা উচিত। ব্যবস্থাপনা তাদের দিক থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং
পরিকল্পনা করবে, আর শ্রমিকরা তাদের নির্ধারিত কাজ দক্ষতার
সাথে সম্পন্ন করবে। এর মাধ্যমে কাজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং একটি কার্যকরী
ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে উঠে।
এই চারটি নীতিমালা বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মূল কাঠামো তৈরি করেছে, যা আজও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্পে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য: উদ্দেশ্যগুলো মূলত কর্মক্ষেত্রে
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কার্যকারিতা উন্নয়ন, এবং কর্মীদের ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক স্থাপন করতে
লক্ষ্য করে। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য নিম্নরূপ:
১. উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: কর্মীদের কাজের পদ্ধতি উন্নত করে তাদের
উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা। বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির মাধ্যমে কাজের সময় এবং খরচ কমানো
হয়, ফলে অধিক কাজ করা সম্ভব হয়।
২. কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি: কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ ও নির্বাচন মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
কর্মীরা তাদের কাজের জন্য উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করলে কাজের মান ও গতি বৃদ্ধি পায়।
৩. লাভজনকতা বৃদ্ধি: বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খরচ কমানো এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা সম্ভব, যার ফলে সংস্থার লাভজনকতা বৃদ্ধি পায়।
৪. কর্মী ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন: কর্মী ও ব্যবস্থাপনার মধ্যে একটি ভালো এবং সহযোগিতামূলক
সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত করা। এতে কর্মীরা কাজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ হয়ে ওঠে এবং
কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
৫. কাজের সঠিক বণ্টন ও পরিকল্পনা: কর্মীদের কাজ ও দায়িত্ব সঠিকভাবে বণ্টন করা, যাতে প্রতিটি কর্মী তার যথাযথ ভূমিকা পালন করে এবং কাজের
গুণগত মান বজায় থাকে।
৬. সময় ও সম্পদের কার্যকর ব্যবহারের মাধ্যমে লাভের পরিমাণ
বাড়ানো: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির মাধ্যমে সময়
ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকরী করা, যাতে
কর্মীরা সর্বোচ্চ উৎপাদন করতে পারে এবং প্রতিষ্ঠান অধিক লাভ অর্জন করতে পারে।
এই উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়ন করে একটি প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম আরও সুষ্ঠু এবং
কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারে।
বিকল্প উত্তর:
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা (Scientific Management) বলতে এমন একটি
ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে বোঝায় যা উৎপাদন প্রক্রিয়া, কর্মীদের
কার্যক্ষমতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও গবেষণা ব্যবহার করে।
এই ব্যবস্থাপনা ধারণার মূল উদ্দেশ্য ছিল কাজের সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জন এবং সংস্থার
কাজের প্রক্রিয়া সহজ ও দক্ষ করে তোলা। বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার প্রবর্তক হিসেবে
ফ্রেডেরিক উইন্সলো টেলর (Frederick Winslow Taylor) এর নাম
বিশেষভাবে পরিচিত, যিনি ১৯শ শতকের শেষের দিকে এই পদ্ধতিটি
প্রচলন করেন।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার মূল
বৈশিষ্ট্য:
- কাজের বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ: টেলর বৈজ্ঞানিক
ব্যবস্থাপনা তত্ত্বে কাজের প্রতি পদ্ধতিগত এবং বিজ্ঞানসম্মত বিশ্লেষণ করার
গুরুত্ব দেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে কাজের প্রতিটি
পদক্ষেপে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগ করা উচিত। কাজের সবগুলো দিক পরীক্ষণ ও
বিশ্লেষণ করে সবচেয়ে কার্যকর উপায় বের করা উচিত।
- কর্মী নির্বাচনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি: টেলর বলেন, কর্মী
নির্বাচনও বিজ্ঞানসম্মতভাবে হওয়া উচিত। কর্মীদের ক্ষমতা এবং দক্ষতা অনুযায়ী
তাদের নির্দিষ্ট কাজের জন্য নির্বাচন করা উচিত। প্রতিটি কর্মীকে তার উপযুক্ত
কাজের জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া এবং তাদের কাজের দক্ষতা অনুযায়ী উপযুক্ত বেতন
প্রদান করা।
- কাজের বিভাজন (Division of Labor): কাজের
বিভাজন টেলরের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কাজের ভাগ
ভাগ করে ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হয় যাতে প্রতিটি কর্মী তার বিশেষায়িত কাজে আরও
দক্ষ হয়ে উঠতে পারে এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়।
- পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা: টেলর কর্মীদের
কাজের জন্য একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করার উপর জোর দেন। প্রতিটি কাজের জন্য
নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়, যাতে কাজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়
এবং সময় সাশ্রয় হয়।
- কর্মী ও ব্যবস্থাপকের মধ্যে সমন্বয়: টেলর বলেন, ব্যবস্থাপকদের
এবং কর্মীদের মধ্যে একটি সুসংহত ও সমন্বিত সম্পর্ক থাকতে হবে। কর্মীরা যদি
ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম হন, তবে তাদের উৎসাহিত এবং
প্রশিক্ষিত করতে হবে, এবং ব্যবস্থাপকরা তাদেরকে সঠিক
দিকনির্দেশনা দেবেন।
- পারিশ্রমিক ও প্রণোদনা: কর্মীদের কঠোর
পরিশ্রমের জন্য উপযুক্ত পারিশ্রমিক এবং প্রণোদনা দিতে হবে, যাতে
তারা তাদের কাজ আরও দক্ষতার সাথে করতে পারে। টেলর এই ধারণা প্রচলন করেন যে,
কর্মীরা তাদের কাজের পরিপূর্ণতা এবং ফলাফলের জন্য আরও উৎসাহিত
হবে যদি তাদের জন্য উপযুক্ত আর্থিক পুরস্কার থাকে।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার
সুবিধা:
- উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: বিজ্ঞানসম্মত কাজের
পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। টেলরের পদ্ধতি অনুসরণ করে
অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন ক্ষমতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
- কর্মীর দক্ষতা বৃদ্ধি: প্রতিটি কর্মীকে তার
জন্য উপযুক্ত কাজের জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়, যার ফলে তাদের দক্ষতা বাড়ে
এবং তারা দ্রুত এবং সঠিকভাবে কাজ করতে পারে।
- মুনাফা বৃদ্ধি: বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা
পদ্ধতির মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়ার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়, যার ফলে
কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি পায়।
- সময়ের সাশ্রয়: কাজের সঠিক পরিকল্পনা
এবং সময়ে কাজ সম্পাদন করার ফলে সময়ের সাশ্রয় হয় এবং অতিরিক্ত খরচ কমানো যায়।
বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার
সমালোচনা:
- মানবিক দিকের অবহেলা: টেলরের বৈজ্ঞানিক
ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে কর্মীদের মানবিক দিক এবং কাজের মনোভাবের প্রতি অনেক সময়
অবহেলা করা হয়। তার পদ্ধতিতে শুধুমাত্র কাজের গতি এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির
দিকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, যার ফলে কর্মীদের উপর অতিরিক্ত চাপ
পড়ে।
- কর্মীর সৃজনশীলতা হ্রাস: টেলরের মতে, কাজের
গতি ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য কর্মীদের কিছু নির্দিষ্ট নিয়মে কাজ করতে হবে,
যা তাদের সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।
- একঘেয়েমি কাজ: কাজের বিভাজন এবং
প্রতিটি কর্মীকে একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য নিয়োগ দেয়ার ফলে কর্মীরা একঘেয়ে
হয়ে পড়তে পারে এবং তাদের কাজের প্রতি আগ্রহ কমে যেতে পারে।
উপসংহার: বৈজ্ঞানিক
ব্যবস্থাপনা, বিশেষ করে টেলরের তত্ত্ব, আধুনিক ব্যবস্থাপনা
বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছে। যদিও এর কিছু সমালোচনা রয়েছে, তবে এর পদ্ধতিগুলি আজও অনেক প্রতিষ্ঠান ও শিল্পে কার্যকরীভাবে ব্যবহৃত
হচ্ছে। টেলরের বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, কর্মী দক্ষতা উন্নয়ন এবং সময় ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে,
যা আধুনিক ব্যবস্থাপনা ধারণার উন্নতি ঘটিয়েছে।
সার্চ কী: বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে? বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কাকে বলে ব্যবস্থাপনার কাজ কি? ব্যবস্থাপনার ধাপ কয়টি ও কি কি? বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কয়টি? বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার সুবিধা ও অসুবিধা, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার ৪ টি নীতি,
বৈজ্ঞানিক
ব্যবস্থাপনার বৈশিষ্ট্য, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা
তত্ত্ব কি, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার নীতি কয়টি
ও কি কি, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার উপাদান
সমূহ, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া, বৈজ্ঞানিক ব্যবস্থাপনা কী
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles