আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের তুলনামূলক আলোচনা বা পার্থক্য করুন
নিচে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের তুলনামূলক আলোচনা (পার্থক্য) উপস্থাপন করা হলো:
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক
যোগাযোগের তুলনামূলক আলোচনা
বিষয় |
আনুষ্ঠানিক
যোগাযোগ (Formal
Communication) |
অনানুষ্ঠানিক
যোগাযোগ (Informal
Communication) |
১.
সংজ্ঞা |
একটি
নির্দিষ্ট কাঠামো বা নিয়ম অনুসারে পরিচালিত যোগাযোগ। |
ব্যক্তিগত
সম্পর্ক, স্বতঃস্ফূর্ততা ও সামাজিক
বন্ধনভিত্তিক যোগাযোগ। |
২.
গঠন (Structure) |
প্রতিষ্ঠানের
নির্ধারিত চেইন অব কমান্ড অনুসারে চলে। |
স্বাধীন
ও অগঠিত, কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। |
৩.
উদ্দেশ্য |
অফিসিয়াল
কাজ, আদেশ, তথ্য আদান-প্রদান,
নীতিমালা
বাস্তবায়ন। |
পারস্পরিক
সম্পর্ক গড়ে তোলা, বন্ধুত্বপূর্ণ
পরিবেশ তৈরি। |
৪.
মাধ্যম (Medium) |
মেমো, চিঠি, রিপোর্ট, অফিসিয়াল ইমেইল,
বিজ্ঞপ্তি
ইত্যাদি। |
কথোপকথন, ফোন কল, সামাজিক যোগাযোগ, চা-বিরতির আড্ডা। |
৫.
নথিভুক্তকরণ (Record) |
সাধারণত
লিখিত এবং নথিভুক্ত থাকে। |
বেশিরভাগ
সময় মৌখিক এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক; নথিভুক্ত হয় না। |
৬.
নিয়ন্ত্রণ |
ব্যবস্থাপনা
কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। |
ব্যক্তিগত
সম্পর্ক দ্বারা প্রভাবিত, নিয়ন্ত্রণ করা
কঠিন। |
৭.
তথ্য প্রবাহ |
একমুখী
বা দ্বিমুখী হতে পারে, কিন্তু নির্দিষ্ট
পথ অনুসরণ করে। |
দ্রুত, বহুমুখী ও মুক্তভাবে তথ্য ছড়ায়। |
৮.
গ্রহণযোগ্যতা |
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক
সিদ্ধান্তের জন্য অপরিহার্য। |
সম্পর্ক
ও মানসিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। |
৯.
উদাহরণ |
বসের
ইমেইল, অফিস সার্কুলার, কর্ম নির্দেশ। |
সহকর্মীর
সাথে ক্যান্টিনে আলাপ, বন্ধুর সাথে ফোনে
কথা। |
উপসংহার: উভয় ধরণের যোগাযোগ
ব্যবসায়িক পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ। আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতা
নিশ্চিত করে, আর অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ
কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে।
বিকল্প উত্তর:
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের
তুলনামূলক আলোচনা বা পার্থক্য করুন
নিচে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের
তুলনামূলক আলোচনা উপস্থাপন করা হলো:
আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ (Formal Communication): আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ
হচ্ছে সেই ধরনের যোগাযোগ, যা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট কাঠামো ও নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত
হয়। এই ধরনের যোগাযোগ সাধারণত ঊর্ধ্বতন থেকে অধস্তন কর্মচারীদের মধ্যে বা বিভিন্ন
বিভাগীয় পর্যায়ে নির্ধারিত চেইন অব কমান্ড অনুসারে হয়ে থাকে। এর উদ্দেশ্য হলো
অফিসিয়াল তথ্য আদান-প্রদান, আদেশ জারি, নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং কর্মপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ। এই যোগাযোগ সাধারণত লিখিত
হয়ে থাকে এবং পরবর্তীতে রেফারেন্সের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। যেমন—অফিস মেমো,
বিজ্ঞপ্তি, প্রতিবেদন, চিঠি,
অফিসিয়াল ইমেইল ইত্যাদি।
অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ (Informal Communication): অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ
হলো এমন এক ধরনের যোগাযোগ, যা নির্দিষ্ট কাঠামো বা নিয়মের আওতায় পড়ে না বরং ব্যক্তিগত
সম্পর্ক, আস্থা ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতে গঠিত হয়। এটি সাধারণত
মৌখিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঘটে থাকে। সহকর্মীদের মধ্যে চা-বিরতির সময় আলাপ,
ব্যক্তিগত ফোনালাপ, সামাজিক যোগাযোগ বা হালকা
গল্প—এসবই অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের অন্তর্ভুক্ত। যদিও এই যোগাযোগ অফিসিয়াল নয়,
তবুও এটি কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং কাজের পরিবেশকে
বন্ধুত্বপূর্ণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তুলনামূলক বিশ্লেষণ: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ
একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া যেখানে নিয়ম-কানুন এবং প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়। এটি
প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা বজায় রাখে এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে। অপরদিকে, অনানুষ্ঠানিক
যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণহীন ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে গঠিত হয় যা কর্মীদের মানসিক চাপ
হ্রাসে এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ
নথিভুক্ত থাকে, কিন্তু অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ সাধারণত রেকর্ড
করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, একজন ম্যানেজারের
অফিসিয়াল ইমেইল একটি আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ, আর সহকর্মীদের
মধ্যে ক্যান্টিনে গল্পগুজব একটি অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ।
উপসংহার: উভয় ধরনের যোগাযোগই
প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও
কাজের কাঠামো বজায় রাখে, আর অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ কর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন,
সহযোগিতা ও মনোবল বাড়াতে সাহায্য করে। তাই একটি স্বাস্থ্যকর ও
উৎপাদনশীল কাজের পরিবেশ গড়ে তুলতে দুই ধরনের যোগাযোগই অপরিহার্য।
বিকল্প উত্তর:
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের
তুলনামূলক আলোচনা বা পার্থক্য করুন
নিচে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের
তুলনামূলক আলোচনা উপস্থাপন করা হলো:
১. সংজ্ঞা: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলো সেই যোগাযোগ যা প্রতিষ্ঠানের
নির্ধারিত কাঠামো ও নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হয়। এটি প্রতিষ্ঠানের ভেতরে
অফিসিয়াল কাজে ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ হলো ব্যক্তিগত সম্পর্ক, আস্থা
ও বন্ধুত্বের ভিত্তিতে গঠিত এক ধরনের মুক্ত যোগাযোগ, যা
নির্দিষ্ট কোনো নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ নয়।
২. গঠন (Structure): আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের চেইন অব কমান্ড বা
আদেশ-নির্দেশের ধারা মেনে চলে। এতে কার কার মাধ্যমে তথ্য যাবে, তা নির্দিষ্ট
থাকে।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ গঠিত হয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত সংযোগের
মাধ্যমে। এতে কোনো নির্দিষ্ট কাঠামো বা নিয়ম নেই।
৩. উদ্দেশ্য: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের মূল উদ্দেশ্য হলো অফিসিয়াল তথ্য
আদান-প্রদান, কর্ম নির্দেশনা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতিমালা
বাস্তবায়ন।
অপরদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি করা, বন্ধুত্ব বাড়ানো এবং একটি স্বস্তিকর কাজের পরিবেশ তৈরি করা।
৪. যোগাযোগ মাধ্যম: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ সাধারণত মেমো, চিঠি,
ইমেইল, বিজ্ঞপ্তি, রিপোর্ট
ইত্যাদির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এগুলো প্রাতিষ্ঠানিক ও লিখিত হয়ে থাকে।
অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো হলো মৌখিক কথোপকথন, ফোনালাপ,
সামাজিক যোগাযোগ, সহকর্মীদের সাথে কফির সময়
আলোচনা ইত্যাদি।
৫. নথিভুক্তকরণ (রেকর্ড রাখা): আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ বেশিরভাগ সময় লিখিত হয় এবং
পরবর্তীতে রেফারেন্স বা প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করা হয়।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ সাধারণত মৌখিক এবং রেকর্ড না করা হয়, তাই তা প্রমাণযোগ্য হয় না।
৬. নিয়ন্ত্রণ: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রিত হয় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ
বা ব্যবস্থাপনা দ্বারা। এই যোগাযোগে নিয়ম, নীতিমালা ও কাঠামো গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ ব্যক্তিগত সম্পর্ক দ্বারা পরিচালিত হয় এবং এটি
নিয়ন্ত্রণ করা অনেকাংশে কঠিন।
৭. তথ্য প্রবাহ: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগে তথ্য নির্দিষ্ট পথে, যেমন:
উর্ধ্বতন থেকে অধস্তনে বা বিভাগ থেকে বিভাগে চলে। এতে একটি নির্ধারিত প্রবাহ থাকে।
অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগে তথ্য অনেক দ্রুত এবং বহুমুখীভাবে ছড়ায়, যেমন: একজন
কর্মী থেকে অন্য কর্মী বা বন্ধু থেকে বন্ধুতে।
৮. গ্রহণযোগ্যতা: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিকোণে অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের গুরুত্ব মানসিক স্বস্তি, সম্পর্ক
উন্নয়ন এবং দলীয় কাজের সমন্বয়ে প্রকাশ পায়।
৯. উদাহরণ: আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের উদাহরণ হতে পারে বসের পাঠানো ইমেইল, অফিস
সার্কুলার, অফিসিয়াল নির্দেশ বা রিপোর্ট।
অন্যদিকে, অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের উদাহরণ হলো সহকর্মীদের ক্যান্টিনে আড্ডা, ফোনে ব্যক্তিগত আলাপ, বা সামাজিক মিডিয়ায় চ্যাট।
সার্চ কী: আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের
মধ্যে পার্থক্য কী? যোগাযোগের আনুষ্ঠানিক
ও অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মধ্যে পার্থক্য?
আনুষ্ঠানিক
ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মধ্যে মিল? আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক
যোগাযোগ pdf কি? আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগ কাকে বলে, আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের পার্থক্য লিখ, আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো কি কি, আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের উদাহরণ, ঊর্ধ্বগামী যোগাযোগ ও নিম্নগামী যোগাযোগের মধ্যে পার্থক্য, আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের সুবিধা, যোগাযোগের প্রথাগত ও আধুনিক পদ্ধতির পার্থক্য লিখ, আনুষ্ঠানিক যোগাযোগের প্রস্তুতি সম্পর্কে প্রতিবেদন
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles