কার্য বিশ্লেষণের কৌশলসমূহ লিখুন
ভূমিকা: কার্য বিশ্লেষণ (Job Analysis) একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা কোনো প্রতিষ্ঠানে একটি নির্দিষ্ট কাজের
দায়িত্ব, প্রয়োজনীয় দক্ষতা, শারীরিক
বা মানসিক চাপ এবং কাজের পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করে। এটি মানবসম্পদ
ব্যবস্থাপনার একটি মৌলিক অংশ, যার মাধ্যমে কর্মীদের সঠিক
দায়িত্ব, দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ
করা হয়। কার্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত কর্মী নির্বাচন,
তাদের প্রশিক্ষণ, পারিশ্রমিক কাঠামো নির্ধারণ,
কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন এবং পদোন্নতি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পরিচালনা
করা সম্ভব হয়।
কার্য বিশ্লেষণের কৌশলসমূহ বেশ কিছু পদ্ধতিতে
সম্পাদিত হতে পারে, যা নীচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
১. সাক্ষাৎকার পদ্ধতি (Interview Method):
সংজ্ঞা: এটি কার্য বিশ্লেষণের একটি প্রচলিত কৌশল, যেখানে
কাজের সাথে সম্পর্কিত কর্মী বা সংশ্লিষ্ট ম্যানেজারের সাথে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা
হয়। এই সাক্ষাৎকারে তারা কাজের ভূমিকা, দায়িত্ব, কাজের পরিবেশ, দক্ষতা ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য
প্রদান করেন।
প্রক্রিয়া:
- সংশ্লিষ্ট কর্মী, সুপারভাইজার বা ম্যানেজারদের
সাক্ষাৎকার নেয়া হয়।
- সাক্ষাৎকারে কর্মীদের কাজের চ্যালেঞ্জ, দায়িত্ব,
দক্ষতা এবং প্রয়োজনীয় শর্তাবলী জানানো হয়।
- কাজের প্রতি তাদের ধারণা এবং কর্মস্পৃহা বিশ্লেষণ করা
হয়।
সুবিধা:
- এটি তথ্য সংগ্রহের একটি সরাসরি ও গভীর পদ্ধতি।
- পেশাগত অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং কাজের
প্রতি মনোভাব জানা যায়।
অসুবিধা:
- সময় সাপেক্ষ ও শ্রম-intensive পদ্ধতি।
- তথ্যের নির্ভরতা কর্মীর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বা
দৃষ্টিভঙ্গির ওপর হতে পারে।
২. প্রশ্নমালা পদ্ধতি (Questionnaire Method):
সংজ্ঞা: এটি একটি পরিমাপযোগ্য পদ্ধতি, যেখানে কর্মী বা
ব্যবস্থাপককে একটি নির্দিষ্ট প্রশ্নমালা পূরণ করতে বলা হয়। প্রশ্নমালায় সাধারণত
কাজের দায়-দায়িত্ব, প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা
সংক্রান্ত প্রশ্ন থাকে।
প্রক্রিয়া:
- পূর্বে প্রস্তুত করা প্রশ্নমালার মাধ্যমে কাজের
বিভিন্ন দিক সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
- প্রশ্নমালাটি বেছে নেওয়া হয় কাজের ধরনের ভিত্তিতে
(যেমন: প্রশাসনিক কাজ, প্রযুক্তিগত কাজ ইত্যাদি)।
- কর্মীরা বা ম্যানেজাররা প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
সুবিধা:
- এটি তথ্য সংগ্রহের একটি দ্রুত ও সহজ পদ্ধতি।
- অনেক বেশি কর্মী বা কাজের জন্য প্রশ্নমালা ছড়িয়ে দেওয়া
যায়।
- তথ্যের সুনির্দিষ্টতা বজায় রাখা সহজ।
অসুবিধা:
- একপেশে তথ্য পাওয়া যায়, যেখানে কর্মীর অভিজ্ঞতা বা
মনের মতামত তেমন প্রতিফলিত নাও হতে পারে।
- প্রশ্নমালার যথাযথতা এবং বোধগম্যতা গুরুত্বপূর্ণ, যেটি না
থাকলে সঠিক তথ্য পাওয়া কঠিন হতে পারে।
৩. পরিদর্শন পদ্ধতি (Observation Method):
সংজ্ঞা: এটি হলো একটি সরাসরি পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি, যেখানে
বিশ্লেষক বা মানবসম্পদ ম্যানেজার একটি নির্দিষ্ট কাজের বাস্তব পরিবেশে কর্মীদের
কাজের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
প্রক্রিয়া:
- সংশ্লিষ্ট কাজ বা কর্মীর কাজের পরিবেশে গিয়ে কার্যক্রম
পর্যবেক্ষণ করা হয়।
- পর্যবেক্ষণ করার সময় কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয় না, শুধু
কর্মীর কাজের ধরণ এবং প্রক্রিয়া দেখা হয়।
সুবিধা:
- বাস্তব পরিস্থিতিতে কাজের প্রকৃতি স্পষ্টভাবে বোঝা
যায়।
- কার্যক্রমের সঠিক পর্যবেক্ষণ দ্বারা কাজের সংক্রান্ত
তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
অসুবিধা:
- সময়সাপেক্ষ, বিশেষ করে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষণ
প্রয়োজন হতে পারে।
- কিছু কাজের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ নির্দিষ্ট তথ্য দিতে
পারে না।
৪. ডায়রি পদ্ধতি (Diary Method):
সংজ্ঞা: এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতি, যেখানে কর্মীকে
একটি ডায়রিতে প্রতিদিনের কাজের বিবরণ লিখে রাখার জন্য বলা হয়। এটি কেবল দৈনিক কাজ
নয়, বরং কাজের প্রতিটি ধাপ, সময়ের
চাহিদা, প্রয়োজনে সহায়ক উপকরণ ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ
করে।
প্রক্রিয়া:
- কর্মী তাদের প্রতিদিনের কাজের একটি ডায়রিতে লিখে
রাখেন।
- তারা প্রতিটি কাজের জন্য সময়, প্রচেষ্টা
এবং ব্যবহৃত উপকরণ/প্রযুক্তি ইত্যাদি নথিভুক্ত করেন।
সুবিধা:
- এটি একটি সুক্ষ্ম বিশ্লেষণ করতে সহায়ক, কারণ
এটি কর্মীর দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে।
- দীর্ঘ সময় ধরে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
অসুবিধা:
- এটি সময়সাপেক্ষ এবং কর্মীদের জন্য কিছুটা ক্লান্তিকর
হতে পারে।
- তথ্যের যথার্থতা নির্ভর করে কর্মীর মনোযোগ ও অভিজ্ঞতার
ওপর।
৫. ফোকাস গ্রুপ পদ্ধতি (Focus Group Method):
সংজ্ঞা: এই পদ্ধতিতে একটি ছোট গোষ্ঠী বা দল তৈরি করা হয়, যেখানে সংশ্লিষ্ট কাজের সাথে জড়িত কর্মী, ম্যানেজার
বা স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে তাদের অভিজ্ঞতা, মতামত এবং
তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
প্রক্রিয়া:
- একটি ফোকাস গ্রুপ গঠন করা হয় যেখানে কিছু নির্দিষ্ট
কর্মী বা দলের সদস্যদের মতামত নেওয়া হয়।
- এদের মাধ্যমে কাজের বিশ্লেষণ, সমস্যা,
সুযোগ এবং উন্নতির ক্ষেত্রসমূহ আলোচনা করা হয়।
সুবিধা:
- এটি সরাসরি কর্মীদের মতামত ও অভিজ্ঞতা সংগ্রহের একটি
কার্যকর পদ্ধতি।
- কয়েকজনের অভিজ্ঞতা একত্রিত করলে ব্যাপক তথ্য পাওয়া
যায়।
অসুবিধা:
- এটি কিছুটা ব্যক্তিগত এবং দলের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি
করতে পারে।
- প্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
৬. কাজের বিশ্লেষণ পদ্ধতি (Functional Job Analysis):
সংজ্ঞা: এই পদ্ধতিতে কর্মীর কাজের প্রতিটি দিক বিশ্লেষণ করা হয়, যেমন: কাজের কার্যাবলী, প্রয়োজনীয় দক্ষতা, শারীরিক ও মানসিক চাপ, দায়িত্ব এবং কাজের পরিবেশ।
প্রক্রিয়া:
- কাজের বিভিন্ন দিকের ওপর ফোকাস করা হয়, যেমন
প্রযুক্তিগত দক্ষতা, শারীরিক পরিশ্রম, চিন্তাভাবনার স্তর ইত্যাদি।
- প্রতিটি কাজের মাধ্যমে যে কার্যক্রম সম্পন্ন হয়, তার
পুরো দিকটি বিশ্লেষণ করা হয়।
সুবিধা:
- এটি কাজের প্রকৃতিগত বিশ্লেষণ প্রদান করে, যা সঠিক
কর্মী নির্বাচন করতে সহায়ক।
- কার্যকলাপের গুণগত এবং পরিমাণগত বিশ্লেষণ সম্ভব হয়।
অসুবিধা:
- এটি কিছুটা জটিল এবং সময়সাপেক্ষ হতে পারে।
- প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে কিছু অতিরিক্ত উপকরণ বা
দক্ষতা প্রয়োজন।
উপসংহার: কার্য বিশ্লেষণের বিভিন্ন কৌশল কর্মীদের কাজের সঠিক বিশ্লেষণ, তাদের দায়িত্ব, দক্ষতা এবং পরিবেশ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহে সহায়ক। কাজের প্রকৃতি ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী প্রতিটি কৌশল ভিন্নভাবে কার্যকরী হতে পারে। সঠিক পদ্ধতি নির্বাচন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুযায়ী মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে সাহায্য করে।
বিকল্প উত্তর:
ভূমিকা: কার্য বিশ্লেষণ (Job Analysis) একটি গুরুত্বপূর্ণ মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া, যা কোনো নির্দিষ্ট কাজ বা পদ সম্পর্কিত সকল তথ্য সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণের মাধ্যমে কাজের প্রকৃতি, দায়িত্ব, দক্ষতা, প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং কাজের পরিবেশ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করে। এটি একটি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে সহায়তা করে, কারণ কাজের প্রকৃতি বোঝার মাধ্যমে কর্মী নির্বাচন, প্রশিক্ষণ, বেতন কাঠামো, কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন ইত্যাদি কার্যক্রম সহজ হয়।
কার্য বিশ্লেষণের কৌশলসমূহ নিচে বর্ণনা করা হলো:
১. সাক্ষাৎকার পদ্ধতি (Interview Method): কর্মী বা ব্যবস্থাপককে সরাসরি
সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে কাজের দায়িত্ব, দক্ষতা, এবং পরিবেশ
সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সুবিধা: সরাসরি অভিজ্ঞতা জানা যায়।
অসুবিধা: সময়সাপেক্ষ এবং শ্রমসাধ্য।
২. প্রশ্নমালা পদ্ধতি (Questionnaire Method): কর্মী বা ব্যবস্থাপকদের জন্য
একটি প্রশ্নমালা তৈরি করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সুবিধা: দ্রুত এবং কার্যকরী।
অসুবিধা: তথ্যের সঠিকতা প্রশ্নবোধক হতে
পারে।
৩. পরিদর্শন পদ্ধতি (Observation Method): কর্মীদের কাজ পর্যবেক্ষণ করে
তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সুবিধা: বাস্তব পরিস্থিতিতে কাজের
প্রকৃতি বোঝা যায়।
অসুবিধা: সময়সাপেক্ষ এবং কিছু কাজের
ক্ষেত্রে কার্যকর নয়।
৪. ডায়রি পদ্ধতি (Diary Method): কর্মীকে তাদের দৈনন্দিন কাজের ডায়রি লিখতে বলা
হয়।
সুবিধা: বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা
যায়।
অসুবিধা: সময়সাপেক্ষ এবং ক্লান্তিকর।
৫. ফোকাস গ্রুপ পদ্ধতি (Focus Group Method): একটি ছোট গ্রুপে আলোচনার
মাধ্যমে কাজের বিশ্লেষণ করা হয়।
সুবিধা: বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া
যায়।
অসুবিধা: দলের মধ্যে মতবিরোধ হতে পারে।
এই কৌশলগুলির মাধ্যমে কার্য বিশ্লেষণ করা হয়, যা কর্মী নির্বাচনের জন্য সহায়ক।
উপসংহার: কার্য বিশ্লেষণ একটি অপরিহার্য প্রক্রিয়া যা একটি প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করে। এটি কাজের প্রকৃতি, কর্মীর দক্ষতা, দায়িত্ব এবং কাজের পরিবেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মী নির্বাচনের প্রক্রিয়া সহজতর হয়। কার্য বিশ্লেষণ প্রক্রিয়াটি একটি প্রতিষ্ঠানের সঠিক পরিকল্পনা, কর্মী প্রশিক্ষণ, এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া উন্নত করতে সহায়তা করে।
সার্চ কী: কার্য বিশ্লেষণ বলতে কি বোঝায়?, কার্যকরী
বিশ্লেষণ কাকে বলে?, জব ডিজাইন কি?, কার্যগত
বিশ্লেষণের প্রকারভেদ?, কার্য বর্ণনা ও কার্য নির্দিষ্টকরণের
মধ্যে পার্থক্য, কার্য নির্দিষ্টকরণ কি, কার্য ডিজাইন কাকে বলে, কর্ম বিশ্লেষণের দুটি পদ্ধতি
উল্লেখ কর, কর্ম বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা, কার্য বর্ণনা কি, কার্য বিশ্লেষণ কি, কার্য বিশ্লেষণের উদ্দেশ্য, কাজ বিশ্লেষণের পদ্ধতি ও
কৌশল?, কাজ বিশ্লেষণ কী?, জব ডিজাইন কি?,
সংখ্যাত্মক বিশ্লেষণ কী?, কার্য বর্ণনা ও কার্য
নির্দিষ্টকরণের মধ্যে পার্থক্য, কর্ম বিশ্লেষণের দুটি পদ্ধতি
উল্লেখ কর, কার্য বিশ্লেষণের গুরুত্ব, কার্য,
নির্দিষ্টকরণ কি, কার্য বর্ণনা কি, কার্য ডিজাইন কাকে বলে, পদ বিশ্লেষণের ধাপ কয়টি ও কি
কি, কার্য কৌশল কাকে বলে
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles