টুইটারের নাম কেন এক্স রাখা হলো?
টুইটার কেন "এক্স" (X) নামকরণ করেছে, তার পেছনে ইলন মাস্কের একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং ভিশন রয়েছে। ২০২৩ সালে, ইলন মাস্ক টুইটার কেনার পর থেকেই তিনি প্ল্যাটফর্মটিকে নতুনভাবে রূপান্তরিত করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেন। এরপর, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে, টুইটারকে "এক্স" নামকরণ করার ঘোষণা দেন। এই নাম পরিবর্তনটি শুধুমাত্র একটি নতুন ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি করা নয়, বরং একটি বৃহত্তর ভিশন এবং লক্ষ্যকেও প্রতিনিধিত্ব করে।
এখানে কিছু মূল কারণ রয়েছে যা ইলন মাস্কের "এক্স" নামকরণের পেছনে কাজ করেছে:
১. মাল্টি-পারপাস প্ল্যাটফর্ম (X as a Super App): ইলন মাস্ক দীর্ঘদিন ধরেই একটি "সুপার অ্যাপ" তৈরি করার ধারণা ধারণা করছেন, যার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা একত্রিত থাকবে। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম হবে যেখানে সামাজিক যোগাযোগ, পেমেন্ট, শপিং, মিডিয়া কন্টেন্ট, এবং আরও অনেক কিছু থাকবে। এই ধারণাটির সাথে "এক্স" নামটি মানানসই, কারণ এটি এক ধরনের বহুমুখী ও ব্যাপক প্ল্যাটফর্মের ধারণাকে ধারণ করে।
"এক্স" নামটি ইতোমধ্যে মাস্কের অন্যান্য উদ্যোগগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত, যেমন PayPal এর পূর্বসূরি X.com, যা তার ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবসার ভিত্তি ছিল। এর মাধ্যমে, মাস্কের লক্ষ্য টুইটারকে শুধুমাত্র একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক বেশি কিছুতে রূপান্তরিত করা, যা অর্থনৈতিক এবং সামাজিক বিভিন্ন দিককে একত্রিত করবে।
২. মাস্কের পূর্ববর্তী এক্স সম্পর্কিত উদ্যোগ: ইলন মাস্কের একটি দীর্ঘ ইতিহাস "এক্স" নামের সাথে যুক্ত। তিনি তার প্রথম কোম্পানি X.com প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা পরবর্তীতে PayPal হয়ে ওঠে। "এক্স" তার একটি ব্যক্তিগত এবং পেশাগত চিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি অতীতে একাধিকবার "এক্স" নামকে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং সেই ধারাবাহিকতা অনুসরণ করেই টুইটারকে এক্স নাম দিয়ে নতুন শুরু করতে চেয়েছেন।
৩. টুইটারের বর্তমান ব্র্যান্ডিং থেকে আলাদা হওয়া: টুইটার নামটি পৃথিবীজুড়ে পরিচিত এবং এটি একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি ছিল। কিন্তু ইলন মাস্ক বিশ্বাস করেন যে, যদি টুইটারকে তার নতুন ভিশন অনুযায়ী পুনর্গঠন করতে হয়, তবে এক নতুন ব্র্যান্ডিং প্রয়োজন। "এক্স" নামটি এই পরিবর্তন ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হয়ে উঠেছে, যেখানে পুরানো প্ল্যাটফর্মের সীমাবদ্ধতা থেকে বের হয়ে নতুন একটি দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
৪. পদার্থবিদ্যা এবং ম্যাথম্যাটিক্স: "এক্স" চিহ্নটি গণনা, বিজ্ঞানে এবং মস্তিষ্কের মধ্যে একটি শক্তিশালী প্রতীক। এটি সাধারণত অজানা, সম্ভাবনা, এবং ভবিষ্যতের ধারণাকে প্রতিফলিত করে। "এক্স" এমন একটি চিহ্ন যা প্রতীকীভাবে অগ্রগতির এবং নতুন সম্ভাবনার দিকে নজর দেয়, যা মাস্কের নতুন প্রযুক্তিগত উদ্যোগের সাথে খুবই মানানসই।
৫. এটি একটি ইউনিক ও শক্তিশালী ব্র্যান্ড নাম: "এক্স" একটি সংক্ষিপ্ত, সহজ, এবং স্মরণীয় নাম, যা গ্রাহকদের কাছে দ্রুত এবং সহজে চিহ্নিত হতে পারে। এটি একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরির জন্য সহায়ক, যা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে তার পরিষেবা এবং উদ্যোগ সম্প্রসারিত করতে সাহায্য করবে।
৬. টুইটারকে একটি বৃহত্তর একো সিস্টেমে রূপান্তরিত করা: ইলন মাস্ক টুইটারকে শুধুমাত্র একটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে অনেক বড় পরিসরে একটি "একো সিস্টেম" তৈরি করতে চান। তিনি টুইটারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, পেমেন্ট, ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং অন্যান্য ডিজিটাল পরিষেবা একত্রিত করতে চান। "এক্স" নামটি সেই বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রতিফলিত করে, যা একটি সুসংহত ডিজিটাল ইকোনমি ও সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে তার পণ্যের সামগ্রিক উদ্দেশ্যকে তুলে ধরে।
উপসংহার: ইলন মাস্কের "এক্স" নামকরণের পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল একটি শক্তিশালী, বহুমুখী এবং উদ্ভাবনী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যা একাধিক সেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে। এটি টুইটারের নতুন রূপের প্রতীক এবং মাস্কের দীর্ঘমেয়াদী ভিশন—একটি "সুপার অ্যাপ" তৈরির দিকে একটি বড় পদক্ষেপ।
সার্চ কী: টুইটার ভিডিও twitter.com login, টুইটার ডাউনলোড, টুইটার বাংলা, টুইটার একাউন্ট, টুইটার app, twitter.com sign up টুইটারের নাম এত্স কেন?, টুইটারের বর্তমান নাম কী? টুইটারের পাখির নাম কি? টুইটারের অপর নাম কী? টুইটারের বর্তমান মালিক কে, টুইটারে কত ধরনের একাউন্ট দেখা যায়, Twitter, টুইটারের নতুন নাম কি, টুইট কত অক্ষরের বার্তা, Twitter এর bio কত character এর হয়, টুইটার ভিডিও, টুইটার এর সদর দপ্তর কোথায় এক্স শব্দের অর্থ কি? এক্স এক্স এক্স এর অর্থ কী?
ঘোষণা: এই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সকল লেখনি লেখক ও ওয়েব এডমিন মুহাম্মাদ আল-আমিন খান কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। Bangla Articles এর কোনো লেখনি থেকে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কপি করে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা যাবে না। কোনো লেখনি ভালো লাগলে ও প্রয়োজনীয় মনে হলে এই ওয়েবসাইট থেকেই তা পড়তে পারেন অথবা ওয়েব লিংক শেয়ার করতে পারেন। গুগল সার্চ থেকে দেখা গেছে যে- বহু লেখনি কতিপয় ব্যক্তি নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণরূপে কপিরাইট আইনের লঙ্ঘন। ভবিষ্যতে আবারও এমনটি হলে প্রথমত গুগলের কাছে রিপোর্ট করা হবে ও দ্বিতীয়ত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই কপিরাইট আইনের আওতায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সাথে সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে- Bangla Articles এ প্রকাশিত কোনো লেখনি আপনার ভালো না-ও লাগতে পারে, প্রয়োজনে আপনি এর সমালোচনা কমেন্টের মাধ্যমে করতে পারেন। বাক স্বাধীনতা, চিন্তার বহিঃপ্রকাশ করার অধিকার ও লেখালেখি করার অভ্যাসের জায়গা থেকে লেখক যা ইচ্ছা তাই লিখতে পারেন। তবে তিনি তার যেকোনো লেখনির ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন যাতে করে শালীনতা বজায় রাখা যায় এবং অন্যের ধর্মীয় অনুভূতি, মূল্যবোধ ও অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা যায়। - মুহাম্মাদ আল-আমিন খান, লেখক ও ওয়েব এডমিন, Bangla Articles